সংবাদ শিরোনামঃ
 আটুলিয়া ইউনিয়নে ১৫ টি হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ৩,০০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পানির ট্যাংকি বিতরণ  কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি”র অফিস উদ্বোধন রমজাননগরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে সিসিডিবির জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে এনজিও গনমাধ্যমকর্মী ও ইউ পি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ভূমিহীনদের জায়গায় ফেরত ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে মানববন্ধন  শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনী কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় জামায়াতে ইসলামির কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে  কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. রেজাউল করিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি শ্যামনগরে সরকারি খাল থেকে অবৈধ পাটা অপসারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
কি মধু এই পদে, পদোন্নতি আটকাতে খাদ্য কর্মকর্তার মামলা

কি মধু এই পদে, পদোন্নতি আটকাতে খাদ্য কর্মকর্তার মামলা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

পদোন্নতিতে আপত্তি সাতক্ষীরা সদর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা অনিন্দ দাসের। পদোন্নতি আটকাতে এবার মামলার আশ্রয় নিয়েছেন এই খাদ্য কর্মকর্তা। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অংকের টাকা দিয়ে মামলার বাদী করিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায়কে।

মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক খুলনা ও সাতক্ষীরা সদর ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা অনিন্দ দাস। খুলনার প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আদালতে গত ৪ এপ্রিল মামলাটি দাখিল করা হয়। মামলায় পদোন্নতি প্রদান আদেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আদালত।

সাতক্ষীরার নকিপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা স্বপন রায় মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি উপ খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদের জন্য ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৮ আগষ্ট পর্যন্ত বেতন ভাতা বকেয়া পাবেন। যেটা অনিন্দ কুমার দাস এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ের। স্বপন রায় তখন অনিন্দ দাসের সহকারি ছিলেন। এছাড়া খাদ্য পরিদর্শক থেকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অনিন্দ দাসের সরকারি এসিআর পরিপূর্ণ নেই। ২০১৭-২০ সালের এসিআর এর মধ্যে ৩ মাস ২২ দিনের এসিআর প্রেরণ করা হয়নি। সেকারণে তিনি পদোন্নতির অযোগ্য।

সাতক্ষীরা জেলা অফিসের টিসিএফ জাকির হোসেন জানান, সরকারি চাকরির এসিআর গোপনীয় নথি। এটি বাইরে আসার সুযোগ নেই। তবে সেই গোপনীয় নথি নকিপুর গুদাম কর্মকর্তা স্বপন রায় কিভাবে পেলেন সেটি এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত অনিন্দ দাশ ইতোমধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যেই সাতক্ষীরা সদর গুদামের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে। এছাড়া মামলার বিষয়ে কোন নথিপত্র জেলা অফিসে আসেনি।

খাদ্য বিভাগের অফিস সুত্রে জানা গেছে, বেতন ভাতা দেওয়ার এখতিয়ার উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য বিভাগের উত্থানি দপ্তর ও তার অধীনস্থ এলএসডি সমূহের কর্মচারিদের বেতন ও ভাতাদিসহ সকল সরকারি বিলের আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। পরিদর্শক নয়। বাদী মামলার অভিযোগে তৎকালীন খাদ্য পরিদর্শককে দায়ী করে দেওয়া মামলা সঠিক নয়। মূলত পদোন্নতি খর্ব করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই মামলার উৎপত্তি হয়েছে।

এসব ঘটনার বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা অনিন্দ কুমার দাস বলেন, মামলার বিষয়ে আমি কথা বলতে চায় না। যিনি মামলা করেছেন তিনি বলতে পারবেন। পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে যোগসাযোশ করে মামলা করিয়েছেন এই প্রশ্নে তিনি বলেন, না আমি কাউকে টাকা দিয়ে মামলা করায়নি। আগেও একবার পদোন্নতি খর্ব করেছেন কারণ কি ? বলেন, এটি সত্য নয়। আমার পদোন্নতি হয়েছে আমি সেখানে যোগদানও করেছি। তাহলে মামলা করালেন কেন ? এ প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি তিনি।

এই গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ওসিএলএসডি থাকাকালীন সময়ে রেকর্ডপত্রে মিলার ও কৃষকের নাম দেখিয়ে বাজার থেকে নিম্নমানের ধান ও চাল ক্রয় করে গুদামজাত করে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করেন। খাদ্যমন্ত্রীর আত্নীয় পরিচয় দিয়ে নিয়োগ বানিজ্য ও পোস্টিং বানিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরে যোগদানের পরই বিদেশ থেকে আমদানিকৃত চাল পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে, এসব বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা স্বপন রায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এই কর্মকর্তার ওএমএস ডিলার, মিলারদের কাছ থেকে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ছড়িয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড